ইসলাম শিশু শিক্ষার প্রতি যে কারনে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে!

শিশুদের ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত

করা হলে, একদিন তারাই এই

জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শিশুদের

মন-মানসিকতায় ইসলামের প্রতি মহব্বত,

তৌহিদ, রেসালত, কিয়ামত, পরকাল,

ফেরেশতা, কবরের জগৎ, নবী-রসুল,

সাহাবাদের প্রতি মহব্বত এই সংক্রান্ত

যাবতীয় চেতনায় উজ্জীবিত

করে তোলাই মূলত ইসলামী শিক্ষা।

সর্বোপরি আরো একটি বিষয় গুরুত্ব

সহকারে শেখানো সেটা হলো ‘আদব’

বা ‘ভদ্রতা’। রসুল (সা.) বলেন

‘কোনো পিতা তার সন্তানকে এর

থেকে উত্তম উপঢৌকন প্রদান

করতে পারেন না, তিনি তাকে যে উত্তম

শিক্ষা প্রদান করেন।’ (তিরমিজী ) হজরত

ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন রসুল (সা.)

বলেন ‘শিশুর যখন কথা ফুটতে শুরু করবে তখন

সর্ব প্রথম

তাকে কলেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’

শেখাবে, আর মৃত্যুকালেও

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর তালকিন

দেবে। কেননা যার প্রথম বাক্য এবং শেষ

বাক্য হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’

সে যদি হাজার বছরও

বেঁচে থাকে তাহলে তাকে কোনো

গোনাহ ও পাপের

ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।’

হজরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত রসুল (সা.)

বলেছেন, তোমরা নিজ নিজ সন্তানদের

তিনটি স্বভাবের

অনুসারী করে গড়ে তোলো ১. তাদের

নবী (সা.)-এর

প্রতি ভালোবাসা শিক্ষা দাও। ২.

নবী (সা.)-এর বংশধরদের

প্রতি ভালোবাসা শিক্ষা দাও। ৩. তাদের

মধ্যে পবিত্র কোরান তেলাওয়াতের

অভ্যাস গড়ে তোলো। কেননা পবিত্র

কোরানের ধারক ও বাহকরাই সেদিন

আম্বিয়া কেরাম এবং সাধু সজ্জনদের

সঙ্গে আরশের ছায়ায় অবস্থান করবে,

যেদিন আরশের ছায়া ছাড়া আর

কোনো ছায়া থাকবে না। (তিবরানী)

শিশু শিক্ষার বিষয়টিকে ইসলাম বেশ

গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে। তাই

একজন মুসলমান হিসেবে, ইসলামের একজন

অনুসারী হিসেবে নিজেদের শিশু

সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত

করে তোলার বিষয়টিকে গুরুত্ব প্রদান

করতে হবে আমাদের।

শিশুদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত

না করতে পারলে, একদিকে যেমন

সামাজিকভাবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন

হতে হবে তেমনি জবাবদিহিতার

কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে আল্লাহ মহানের

দরবারে। কারণ শিশু সন্তানদের সুশিক্ষায়

শিক্ষিত করে তোলাকে প্রত্যেক

অভিভাবকের জন্য আবশ্যক দায়িত্ব

হিসেবে ঘোষণা করেছে ইসলাম। আল্লাহ

আমাদের সবাইকে নিজ নিজ শিশু

সন্তানদের ইসলামী সুশিক্ষায় শিক্ষিত

করে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার

তওফিক দান করুন।

মাওলানা মিরাজ রহমান